বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলায় আলহাজ্ব কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’টি ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেন্টারের কাজে নিয়ম বর্হিভূত ব্যবহার ও ওই মাদ্রাসার গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আদর্শ একাডেমি’র আইসিটি বিভাগের শিক্ষক ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণেই ইতিমধ্যে ওই ল্যাবের দুইটি ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। 

আলহাজ্ব কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, করোনার কারণে সারা দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। তখনই মাদ্রসা বন্ধের সুযোগ কাজে লাগায় ইসলামী আদর্শ একাডেমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমেজভিশন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার মালিক সাবেক শিবির নেতা মো. রফিকুল ইসলাম।

আলহাজ্ব কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষককে ম্যানেজ করেই শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কক্ষের চাবি নিয়ে নিয়মিত ব্যক্তিগত কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ক্লাস নিতে থাকেন রফিকুল ইসলাম। কম্পিউটারে অনভিজ্ঞ বহিরাগত লোকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়ে নিয়মিত ট্রেনিং সেন্টারের ক্লাস নেয়ার কারণে তাদের ল্যাব সেন্টারের দুইটি ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গেছে। একই সাথে মাদ্রাসার কিছু গোপন তথ্য চুরি করেনে রফিকুল ইসলাম।

দীর্ঘ কয়েক মাস তাদের মাদ্রাসার ডিজিটাল ল্যাব সেন্টারটি ব্যবহার করার বিষয়টি তারা জানতেন না। সরকারী ছুটি থাকার সুযোগে কতিপয় শিক্ষককে ম্যানেজ করে রফিকুল ইসলাম তাদের মাদ্রাসার ল্যাবটি ব্যবহারের কারণে অনেকটা ক্ষতিতে পড়েছে আলহাজ্ব কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসা। ৩১ আগষ্ট বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তারা বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির নজরে আনলে কমিটির সভাপতি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’র কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরবর্তী সরকারী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কক্ষটি বন্ধ থাকবে এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন মোংলা থানায়।

ইমেজ ভিশন ট্রেনিং সেন্টারের মালিক ও ইসলামী আদর্শ একাডেমির আইসিটি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি অন্যমাদ্রাসার শিক্ষক হলেও কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসার মাওলানা গোলাম মোস্তফা এবং আইসিটি শিক্ষক মইন উদ্দিনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে তাদের মাদ্রাসার ডিজিটাল ল্যাবটি ব্যবহার করেছি। তবে, ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেন্টারের কাজে ব্যবহার করেননি।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাসহ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকেও অবহিত করার জন্যে বলা হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০)