স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : চুরির উদ্দেশ্যে ঘোড়াঘাট  ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় ওয়াহিদা বাঁধা দেওয়ায় তার উপর নৃশংস হামলা চালায় বলে জানিয়েছে র‌্যাব-১৩। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছে, র‌্যাব-১৩ কর্মকর্তারা।

র‍্যাব-১৩ রংপুর প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে। তারা জিজ্ঞাসবাদে জানিয়েছে, চুরির জন্য তারা ভেন্টিলেটর দিয়ে ইউএনওর বাসভবনে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাঁধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালায়।

তাই আটক সন্দেহভাজন জাহাংগীর আলমকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রেস ব্রিফিং এ।

ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে র‍্যাব গাড়ীতে করে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ বাজারে ছেড়ে দিয়ে গেছে বলেও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।

প্রসংগত, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট যুবলীগের আহবায়ক ছিলেন। ইউএনও আহত ঘটনা আজ শুক্রবার ভোরে তাকে আটক করে র‍্যাব। এ ঘটনার জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

তবে গ্রেফতাররা চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল বললেও ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রংপুর ডিআইজির একজন প্রতিনিধি এবং দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ মাহমুদ।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০)