কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : তিন বছরের শিশুকে ফুসলিয়ে কোলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামী জুয়েলকে ৬ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই জুয়েল নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের দিঘলকুশা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে এক সন্তানের বাবা জুয়েল। গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী তিন বছরের এক শিশুকে ফুসলিয়ে সুযোগ বুঝে কোলে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে তার মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে আহত অবস্থায় কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালে সুস্থ্য না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে ৩ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে শিশুটির বাবাকে চাপ দিয়ে ঘটনার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় একটি মহল। বিচারের দাবীতে এগিয়ে আসে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। শনিবার দুপুরে জুয়েলের বিরুদ্ধে শিশুটির রিকসা চালক বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী জুয়েল পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দায়েরের আগে থেকেই তাকে গ্রেফতারের জন্য আমি নিজেই অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটির রিকসা চালক বাবা বলেন, জুয়েলের আত্মীয় স্বজনরা আমারে ঘটনা মিমাংসার জন্য নানা ভাবে চাপ দিতেছে। আমি জুয়েলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এদিকে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি রইছ উদ্দিন মাষ্টার ও সাধারন সম্পাদক কল্যানী হাসান বলেন, তিন বছরের শিশুটিকে ফুসলিয়ে যেভাবে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে তা খুবই ন্যাক্কারজনক। জুয়েলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে খুব তাড়াতাড়ি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করব।

কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, জুয়েল পালিয়ে আর কয়দিন থাকবে। তাকে গ্রেফতার হতেই হবে।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০)