দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ধামরাই উপজেলার গোপালপুর গ্রামে নির্মাণ শ্রমিক দম্পতি বিশ পানে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিববার সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পৌছে লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ।

অজানা থেকে-চেনা জানা,তার পর গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে জুয়েল ও রুমি আক্তারের সাথে। শেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে উভয়ে গড়ে তুলে ঘর-সংসার। জুয়েলের মির্জাপুর থানার পিকেশরী গ্রামে রুমি আক্তারদের গ্রামে যাতাযাত ছিল। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে দেখা স্বাক্ষাত পরিজচয় ঘটে। এই ভাবে উভয়ের পরিচয় সুত্রে প্রেম,তার বিয়ে হয়। এরপর দুবছর পেরিয়েও গেছে।সংসার চলছিল ভালোভাবেই।পুলিশ কাকতালীয় ভাবে একটি ব্যাগে স্বামী- স্ত্রীর লাশ নিয়ে গেলেন উদ্ধার করে ধামরাই থানায়।মরেও যেনো সহ-মিলন।

পুলিশও স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়,ধামরাই উপজেলার গোপলপুর গ্রামের গফুরের ছেলে নির্মান শ্রমিক জুয়েল হোসেন(২৫) প্রায় দুই বছর পুর্বে ভালবেসে বিয়ে করে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার পিকেশরী গ্রামে রুমি আক্তার কে।

করোনা ও বন্যা কারনে সংসারে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় প্রায় দুই মাস পুর্বে রুমি আক্তার স্বামী জুয়েলের সাথে কলহ করে বাপের বাড়ি চলে যায়।

গতকাল পুনরায় স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে।স্বামী জুয়েল,গত দুই মাসে স্ত্রী রুমি আক্তাকে ফিরিয়ে না আনায়,গতকাল সন্ধায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটি হয়।

আজ বৃস্পতিবার সকালে নির্মান শ্রমিক জুয়েল হোসেন ও তার স্ত্রী রুমি আক্তারে লাশ তাদের ঘর পরে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ধামরাই থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।

স্ত্রী রুমি আক্তার (মুনমুন) গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারনা পারিবারিক কোন কলহের জেরে স্ত্রী মুনমুন বেগমকে হত্যার পর স্বামী জুয়েল বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে?
স্বামী-স্ত্রীর অকাল মতু্যুতে এলাকা লোকজন মর্মাহত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ বলেন ওরা উভয়ে বেশ মিল ছিল।কি হলো হঠাৎ অমিল,একত্রে আত্মহত্যা।

এ ঘটনায় ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা জানায়, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে,প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যায়,উভয়ে বিষপান করেছে।তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারন কারণ জানা যাবে বলেন।

(ডিসিপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০)