দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ধামরাই যাদবপুর গ্রেেমর গৃহবধু জুলেখা আক্তার শিখা, স্বামী মেহেদীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ ঘটনাস্থধ থেকে লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিকভাবে জুলেখা আক্তার শিখার স্বামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে ধামরাইি থানা হাজতে রেখেছে।অভিযোগ উঠেছে হত্যার পর শিখাকে সোফায় বসিয়ে রাখে। 

স্বামী মেহেদী হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন শুক্রবার সকালে এই হত্যার ঘটনার সংবাদ জানার সাথে সাথে এসআই আজহারুল ইসলাম কে দ্রুত পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার ও স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় বলেন। ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

এসআই আজহারুল ইসলাম লাশের সুরত হাল রির্পোট করার পর ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা সোরাওয়াদী হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে লাশ।এঘটনায় ধানায় মামলা হবে বলেন ওই কর্মকর্তা।

এদিকে গৃহবধু জুলেখা আক্তার শিখার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

শিখার মামা বলেন, জুলেখা আক্তার শিখার বাড়ি আশুলিায়ার গোহাইল বাড়ি। ওর বাবার নাম জসিম উদ্দিন।তিনি বলেন শিখাকে মাইরা গল্য়া ওড়না পেচিয়ে ওয়ালের সাথে বসিয়ে রাখে, গলায় দাগ আছে বলেন।

জুলেখা আক্তার শিখার ফুপা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও ফাসির দাবীর করেন।

তিনি বলেন, শিখার দুছর আগে ধামরাই উপজেলার যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও যাদবপুর গ্রামে আতাউর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে বিয়ে হয়।

তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত।ঘটনার দুদিন আগে শিখাকে শশুর বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর এক রাত গেছে এরপর ওকে মেরে ফেলেছে। মাইরা বসিয়ে রাখছে। এখন বলছে ফাসি দিয়ে মরছে। মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান বলছে ঘুমের থেকে রাত দুটায় সজাগ পাইয়া দেখে সোপায় হেলান দিয়া বসে আছে, এর দেখে সে শিখা মৃত।

(ডিসিপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০)