সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রাম দু-দলের সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর করেছে সংঘর্ষকারীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপুটি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারে খলিশপুটি গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফরিদ মোল্যার ভাতিজা রহিম মোল্যাকে মারধর করে একই গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলীর ভাতিজা মোস্তাক মোল্যা। এরই সুত্রধরে উভয় দলের সমর্থকরা দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে সাহেব আলী মেম্বারের সমর্থকরা ফরিদ মোল্যার সমর্থকদের ৯টি বসতঘর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২৪ জন আহত হয়। এরমধ্যে ১৩জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফরিদ মোল্যা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে আমার ভাতিজা রহিম মোল্যা মারধর করে সাহেব আলী মেম্বারের ভাতিজা মোস্তাক। এরপর সংঘর্ষ বাধে। পরে সাহেব আলী মেম্বারের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ৯/১০টি বসতঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় ৮মাসের গর্ভবতী মহিলাসহ আমার ১০জন সমর্থক আহত হয়। এরমধ্যে ৪জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাহেব আলী মোল্যা বলেন, রহিম মোল্যাকে আমার ভাতিজা মারধর করে নাই। পুর্ব শত্রুতার জেরধরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় আমার সমর্থক ১৪জন আহত হয়। এরমধ্যে ৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা বর্তমানে শান্ত আছে। এবিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএন/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০)