স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে অবস্থিত মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারীর মালিক গোবিন্দ কিশোর পাল চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জনৈক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেকারী ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গণে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ কিশোর পাল অভিযোগ করেন, ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত তাদের মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারী ফ্যাক্টরীটি সম্প্রতি আধুনিকায়ন করে পাশেই স্থানান্তর করছেন। আধুনিকায়নে বাঁধা দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার জনৈক জহুরুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয়ে গত ১৭ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারীর নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার নামে গত ২২ আগস্ট একটি বেনামী চিঠি পাঠিয়ে নবনির্মিত কারখানার কাজ ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। চিঠি পেয়ে গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় গোবিন্দ কিশোর পাল ভূঞাপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।

পরে গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের আমিন বাজার থেকে সুপারীবাগান এলাকার ভাড়া বাসায় ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক এসে তার গতিরোধ করে এবং জহুরুল ইসলামের দাবিকৃত টাকা দিয়ে দিতে বলে। না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়।
জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জহুরুল ইসলাম ও তার সঙ্গীদের বার বার মোবাইল ফোনে হুমকির কারণে তিনি ও তার পরিবারের জীবন ওষ্ঠাগত। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্আলম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাস চন্দ পাল, স্থানীয় সমাজ সেবক মো. মনিরুজ্জামান, মো. মুজিবুর রহমান ফকির, মো. পাকির আলী, মো. ওয়াসিম রবিন সহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারীর মালিক গোবিন্দ কিশোর পাল ও ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক।

গোবিন্দ কিশোর পাল আরও বলেন, মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারীর উৎপাদিত প্রতিটি পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএসটিআই’র অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারী নিয়ে দৈনিক মুক্তখবর নামক পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে উল্লেখিত জহুরুল ইসলাম নিজেই ভুয়া সংবাদের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে গোবিন্দ কিশোর পালের নামে পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০)