স্টাফ রিপোর্টার : শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট বন্ধ থাকার ৪ দিন পর সীমিত পরিসরে নতুন চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট দিয়ে ছোট বড় প্রায় ১২টি মালবাহী যানবাহন নিয়ে পালেরচর চ্যানেল দিয়ে কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয় মিডিয়াম ফেরি ক্যামিলিয়া।

এদিকে ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা নেই। যেহেতু পদ্মা সেতু খুব দ্রুত চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাই বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেই ভাঙন রোধে কাজ করা হবে বলে জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার দুপুরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের বিভিন্ন চ্যানেল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন- গত আটদিন একটানা এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৌরুটটিকে চালু করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে একরাতের মধ্যে চর ভেঙে এই চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এসে পালেরচর, হাজরা ও লৌহজং টার্নিং চ্যানেলের বিকল্প চ্যানেল পরিদর্শন করেছি। পরিকল্পনা চলছে এই চ্যানেলটিকে অক্ষত রাখার জন্য কী করা যায়। যদি সবকিছু অনুকূলে থাকে লৌহজং টার্নিং দুইদিনের মধ্যে খুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে৷ ইতোমধ্যে সেখানে ড্রেজার কাজ করছে। এছাড়া হাজরার চর যা প্রায় এক কিলোমিটার, একটি বিকল্প চ্যানেল হিসেবে আছে। সেখানে ড্রেজিং করার পরিকল্পনা আছে, তা ড্রেজিং করলে চালু করতে পারব। কিন্তু এগুলো করতে সময় লাগবে। লৌহজং চ্যানেল অনিশ্চিত। কেননা পাশেই ভাঙন চলছে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়েও যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পালের চর যা ২৮ কিলোমিটার। জনগণের জরুরি প্রয়োজনের জন্য পালের চর দিয়ে ফেরি চালুর ব্যবস্থা করছি। অ্যাম্বুলেন্সের মতো স্পর্শকাতর যানবাহনকে এই পথ ব্যবহার না করার জন্য নিরুৎসাহিত করব। পাটুরিয়ায় অনেক ফেরি, লোকবলও বেশি৷ পালেরচর আজকের মধ্যে চালু করা হচ্ছে। অনেক বেশি সময় লাগায় এতদিন চলাচল হয়নি। সময় বেশি লাগলেও এটিই চালু করতে পারি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র রায়, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমরোড গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাঁজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের প্রমুখ।

(ওএস/পি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০ইং)