সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক গৃহবধুর উপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। পরে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত গৃহবধুর নাম সাবিনা খাতুন (২০)। সে উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের কওছার আলী গাজীর মেয়ে।

পাঁচপোতা গ্রামের কওছার আলী জানান, এক বছর আগে তার মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে সুলতানপুর গ্রামের হোসেন আলী ফকিরের ছেলে ইমরান হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ দেড় লক্ষাধিক টকার মালামাল দেয়া হয়। বিয়ের ছয়মাস পার না হতেই ইমরান যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল। তিন দফায় ইমরানকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। এরপরও গত শুক্রবার রাতে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু এনে ব্যবসা করার জন্য সাবিনাকে আরও ৩০ হাজার টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলে ইমরান। অপারগতা প্রকাশ করায় সাবিনার উপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের গলায় ওড়ান পেচিয়ে বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেয় ইমরান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইমরান তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার কথা অস্বীকার করে বলে সংসারে অভাব অনটনের কারণে ঝগড়াঝাটি হওয়ায় সাবিনা আত্মহত্যা করেছে।
কলারোয়া থানার ওসি মুন্সি মোফাজ্জেল হোসেন কনক জানান, সাবিনা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
(আরকে/এএস/আগস্ট ১৬, ২০১৪)