রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ আবাসিক হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

হল সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী শামীমের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী হলের প্রথম ব্লকের তৃতীয় তলা থেকে লাঠি, রড, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপর সভাপতি প্রার্থী মিজানুল হক মিজানের ২১০ নম্বর কক্ষে যায়। সেখানে গিয়ে শামীম মিজানকে মরধর করার চেষ্টা করে। এসময় হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সুজন তাদের বাধা দিলে শামীম গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে কথাকাটাাটি হয়। একপর্যায়ে মিজান ও সুজনের কর্মীদের সঙ্গে শামীম গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে শামীম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়। এসময় মিজান গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হলের মূল গেটে তালা দিয়ে হলে সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা শামীম গ্রুপের কর্মীদের ৩০১, ৩০৩, ৩০৫ ও ৩১৮ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর চালায়।
পরে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা হলে এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
এ ব্যাপারে হলের সভাপতি পদপ্রার্থী মিজান বলেন, শামীম কোন কারণ ছাড়াই আমাকে মারতে আসে। আমি শুধুর এর প্রতিরোধ করেছি। অপর সভাপতি প্রর্থী শামীম বলেন, আমরা তাদের সাথে একটি বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝা বুঝি হয়েছিল। পরে আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।
হল প্রধ্যক্ষ ড. বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, বিষয়টি শুনে আমি রাতেই হলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এখন হলের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
(আইএইচএস/এএস/আগস্ট ১৬, ২০১৪)