স্টাফ রিপোর্টার : ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন আনসার সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৭ এ দেয়া ‘মিলিয়নিয়ার ও অসংখ্য লাখপতি’ শীর্ষক সুবিধায় ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পান তিনি। এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছেন আরো অনেক ক্রেতা।

সম্প্রতি পঞ্চগড়ের বোদায় ওয়ালটন প্লাজায় মো. জহিরুল ইসলামের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ, পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার সালেহ আহমেদ এবং প্লাজা ম্যানেজার সুমন আলী।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।

জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। আর এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

জহিরুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর বটিনায়। তিনি ঢাকার একটি আবাসিক এলাকায় আনসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে থাকেন বাড়িতে। পরিবারের জন্য ওয়ালটন প্লাজা থেকে ১৮ হাজার ৮০৫ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, মাত্র ১৮ হাজার ৮০৫ টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হবো, তা জীবনেও ভাবিনি। ওয়ালটনের কাছ থেকে এই টাকা পেয়ে আমার পরিবারের ভাগ্য বদলে গেলো। ওয়ালটনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।

(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০)