প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিভাবকহীন প্রায় ৯ হাজার শিশুকে বহিস্কার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৬ মাসে  ৮ হাজার ৮’শ অভিবাসী শিশুকে ডিপোর্ট করা হয়েছে। ফেডারেল আদালতের এক আদেশে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৮ হাজার ৮শত অভিবাসী শিশু যারা তাদের মা-বাবাকে ছাড়াই দক্ষিণ সীমান্তে এসেছিল তাদের দ্রুত দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা মহামারিরি জরুরি নীতিমালা লংঘন করে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় গ্রহণের চেষ্টা করেছিল। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলি গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এই বহিষ্কারের অনুমোদন দিয়ে একটি জনস্বাস্থ্য আদেশ জারি করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।  

জুন থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন বিতাড়িত শিশুদের সংখ্যা প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। সে সময় তারা জানিয়েছিল, প্রায় ২ হাজার শিশুকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে অভিবাসন আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। গত শুক্রবার পর্যন্ত বিতাড়নের এই সংখ্যা স্পষ্ট ছিল না।

শিশুদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আদালতে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেয়ার কয়েক দশকের রীতি বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়।

এ বছর ২১ মার্চ ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সীমান্ত বিধিমালা কার্যকর করা হয়েছে। তাদের দাবি, অভিবাসীদের হোল্ডিং সুবিধা এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্যই নতুন বিধি তৈরি করা হয়েছে। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অভিবাসন অভিভাবকবিহীন শিশুসহ অন্যদের দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করে।

উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বরের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৈধ ও অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কে কঠোর অবস্থান সামনে আনতে চাইছেন। অভিবাসন আইনজীবীদের দাবি, নতুন বিধিগুলো অভিবাসী বিশেষত শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। ফেডারেল সরকার লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদারদের অধীনে তাদের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে হোটেলে রেখে দেয়। এসব শিশুর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সাধারণ কম্পিউটার সিস্টেমে রেকর্ড করা হয় না, যার ফলে তাদের সন্ধান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

(বিপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০)