আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের আকাশসীমার দিকে অগ্রসর হতে থাকা চীনা একটি যুদ্ধ বিমানকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়েছেন স্বশাসিত এই দ্বীপের বিমানবাহিনীর এক পাইলট। মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ওই পাইলটের বীরোচিত কাজের প্রশংসা করেছেন।

তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্বশাসিত এই দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সফর ঘিরে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ তাইওয়ানে দু'দিনের সফরে যান।

গত কয়েক দশকের মধ্যে এই দ্বীপ ভূখণ্ডে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে তাইওয়ান সফর করেন কেইথ। তার এই সফরের সময় তাইওয়ান প্রণালীর কাছে দুদিনের সামরিক মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

সেই সময় চীনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে তাইওয়ানের বিমানবাহিনীর এক পাইলট বাধা দেন। মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালীর স্পর্শকাতর পেংঘু বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে যান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই।

সেখানে তিনি বিমানের পাইলট এবং প্রকৌশলীদের বলেন, চীনা যুদ্ধবিমানকে বাধা এবং ধাওয়া দিয়ে তাড়ানোর বীরোচিত কাজের ব্যাপারে অবগত আছেন তিনি।

সাই বলেন, আপনাদের ওপর আমার অগাধ আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের শত্রু চীনা প্রজাতন্ত্রের সৈন্যদের কীভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঘুরে বেড়াতে দিতে পারি?

প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, আমি জানি, সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট বিমান আমাদের এই দ্বীপ ঘিরে রেখেছে এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের শান্তি নষ্ট করছে। তাইওয়ানের সৈন্যদের আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চীনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সাই ইং-ওয়েন। চলতি বছরে বেশ কয়েকবার চীনা যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তাইওয়ানের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাইওয়ানও নিজেদের সীমানায় যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। রয়টার্স, চ্যানেল নিউজ এশিয়া।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০)