স্টাফ রিপোর্টার : পাইকারি বাজারের পর ধীর গতিতে খুচরা বাজারেও নামতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। শেষ দু’দিনে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা কমেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর ‘সেঞ্চুরি’ হাঁকায় পেঁয়াজের দাম। তবে চলতি সপ্তাহে আবারও ভারত এবং পাশপাশি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম করতে শুরু করেছে। গত দু’দিনে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। তবে বুধবার পেঁয়াজ কিছুটা কম দামে কিনতে পারছেন বলে জানান ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার শ্যামপুরে দেশি ও আমদানি করা— দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই অপরিবর্তিত। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

স্থিতিশীল আছে কারওয়ান বাজারের পাইকারি দরও। কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা। আকারে বড় পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি ৮০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫০ টাকা।

অন্যদিকে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ আগের চেয়ে ৫ টাকা কমে কেজি প্রতি ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগেও আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ৭০ টাকায়। তবে এখনো কোথাও কোথাও কিছু খুচরা দোকানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৯০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আড়তে আসা নতুন পেঁয়াজ দোকানে আসলেই এর দাম কমে যাবে। ’

তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘শুনলাম বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এসেছে। আরও আসছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারপরও এখনো যদি পেঁয়াজ আগের দামে না আসে তাহলে আমাদের কী হবে? এই দেশে শুধু দাম বাড়ে, কমে না। ’

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ নাগাদ পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। নতুন পেঁয়াজ আসছে। সেগুলো চলে আসলে আবারও আগের মতোই স্বাভাবিক হবে পেঁয়াজের বাজার। ’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০)