স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় নয় মাস ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর আকাশে আবারও ডানা মেলতে যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিজেট এয়ারওয়েজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অপারেশন শুরু করে নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করছে তারা। বহরে চারটি এয়ারক্রাফট নিয়ে নতুন করে ফিরে আসছে রিজেন্ট।

চলতি বছরের ২২ মার্চ হঠাৎ করেই তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় রিজেন্টের ফ্লাইট চলাচল। তবে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তারা আর ফিরতে পারেনি। বর্তমানে ফিরে আসার সব পরিকল্পনা চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে রিজেন্ট।

রিজেন্ট এয়ারওয়েজ জানায়, নতুন কিছু কৌশলে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এগোচ্ছে রিজেন্ট। আন্তর্জাতিক রুটগুলো আবার বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে ঢাকা-দুবাই-ঢাকা রুটের ফ্লাইট। নতুনভাবে অপারেশনে আসার ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

রিজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের বহরে দুইটি বিমান রয়েছে। তার মধ্যে একটি সি-চেকের (হাই লেভেল এয়ারক্রাফট চেকআপ, যেখানে এয়ারলাইন্সের প্রতিটি যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়) জন্য পাঠানো হয়েছে। আরেকটি বিমানের ইঞ্জিন কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য রিজেন্টের বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও দুইটি এটিআর ব্র্যান্ডের এয়ারক্রাফট।

রিজেন্ট এয়ারের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিষ রায় চৌধুরী বলেন, নভেম্বর মাসের যেকোনো দিন আবারও আকাশে ডানা মেলবে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

নতুন করে অপারেশন শুরু করলে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ তাদের কিছু রুট পরিবর্তন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের মতো দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটেই চলবে রিজেন্ট। তবে আন্তর্জাতিক রুটে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। প্রাথমিকভাবে অপারেশন শুরু পর আন্তর্জাতিক রুটে ভারতের কলকাতা, কাতারের দোহা ও ওমানের মাস্কাটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়াও দুবাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে। এককথায় যেসব রুটে আমাদের রেভিনিউ ভালো ছিল সেসব রুট পরিচালনা করা হবে।

এর আগে ২২ মার্চ ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হওয়ার আগে দেশের ভেতর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং দেশের বাইরে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাস্কাট এবং দোহায় ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

ফ্লাইট অপারেশন বন্ধের বিষয়ে সে সময় রিজেন্ট জানায়, করোনায় বিভিন্ন দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে রিজেন্টের ফ্লাইট পরিচালনার মতো আর কোনো রুটই অবশিষ্ট ছিল না। এছাড়া তাদের রাজস্ব শূন্যের কোটায় চলে যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও একবার রিজেন্ট বন্ধের গুঞ্জন ওঠে। তখন থেকেই পর্যাপ্ত উড়োজাহাজ না থাকায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট কমাতে বাধ্য হয় তারা।

২০১০ সালের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে কার্যক্রমে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট এয়ারওয়েজ (এইচজি এভিয়েশন লিমিটেড)।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০)