রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ‘কুড়িগ্রাম অঞ্চলে বন্যার সমস্যা অতীতেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। উজানে যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি এ অঞ্চল দিয়ে নেমে বঙ্গপোসাগরে যায়। ভাটির দেশ হিসেবে সব সময় এটা আমাদেরকে ফেস করতে হয়।’

নদী ভাঙ্গন প্রসঙ্গে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বন্যার পানির কারনে নদী ভাঙ্গন সহ যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়াও নদী ড্রেজিংয়ের বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের ক্ষতি থেকে গ্রামবাসী রক্ষা পাবে।

তিস্তায় চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২১টি প্রকল্প নিয়ে ডোনার কান্ট্রির সাথে কথা বলেছি। এরমধ্যে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নদ-নদী ভাঙ্গন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। নদী ভাঙ্গন এলাকায় আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প আছে। এরমধ্যে ১৩৭৬ কোটি টাকা তিনটি চলমান এবং ৭১৪ কোটি ও ৩৮৩ কোটি টাকার আরো দুটি প্রকল্প রয়েছে। কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধায় বন্যার পানি নেমে এসে যে ক্ষতি করছে এটাকে রক্ষা করতে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। নদী ড্রেজিং এ বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে এগুলো শেষ হলে মানুষ রক্ষা পাবে এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা এবং সেই নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, বিগত ১০বছর পূর্বেও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের টাকার কোন সমস্যা নেই। রাতারাতি নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে সময় প্রয়োজন হয়। তাই তিনি কুড়িগ্রামবাসিকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন।

শুক্রবার বিকেলে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামে ৫দফা বন্যায় জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়ের বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পরে তিনি মোগলবাসা, চিলমারী রমনা এবং উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর, গুনাইগাছ টি বাঁধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১আসনের সংসদ সদস্য আসলাম সওদাগর, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, বাপাউবো মহাপরিচালক এ.এম. আমিনুল হক, প্রধান প্রকৌশলী উত্তরাঞ্চল জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর পওর সার্কেল আব্দুস শহীদ, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

(পিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০)