প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : চতুর্থ দফায় বন্যার পানি কমতে না কমতেই টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আবারো কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। 

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর)সেতু পেয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি প্রবেশ করছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। এসব এলাকায় চড়া দাম দিয়ে কেনা চারা রোপন করা আমনক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে।

আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসেও পঞ্চম দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষককুল। অন্যদিকে নদী অববাহিকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে মানুষজন উদভ্রান্তের মত ছুটোছুটি করছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক শামসুল হক জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে আবারো বন্যা শুরু হয়েছে। কয়েক দফা রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। এবারে যে সমস্ত আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে তা আর কখনই রোপন করা সম্ভব হবে না বলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। এতবেশি বন্যা হলে আমন মৌসুমে আবাদ করা ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়াও নতুন নতুন এলাকা ভেঙে মানচিত্র থেকে মিশে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গনরোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে অভিযোগ তার।

শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে ও স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

(পিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০)