টানা বৃষ্টিতে কটিয়াদী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
ধ্রুব রঞ্জন দাস, (কিশোরগঞ্জ) কটিয়াদী : গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কটিয়াদী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে ভোগপাড়া, মোদকপাড়া, পশ্চিম চরিয়াকোনা সহ পৌরসভার কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
জানা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, পুকুরভরাট, অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের আধার নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে পৌরসভার বেশ কিছু জায়গা। পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মোদকপাড়ায় ২৫-৩০ টি বাড়ী পানির নিচে তলিয়ে আছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এমনকি কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলোর সুবিশাল চত্বর দীর্ঘমেয়াদী জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট নিমার্ণের সামগ্রী, দালান কোঠা, গাছ পালাসহ নানা সরকারি সম্পত্তি।
সিএন্ডবি রোডের ব্যবসায়ি মতিউর রহমান বলেন, বছরের প্রায় ছয়-সাত মাস জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকে ডাকবাংলোর সুবিশাল এলাকা। এখন এই জলমগ্ন ডাকবাংলো কটিয়াদীর ‘মশা’ তৈরির কারখানা।
পৌরবাসিন্দার মুখলেছুর রহমান ও আ: কাদির বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট ডুবে আমাদের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বর্ষা মৌসুমে আমাদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
মোদকপাড়া এলাকার মুদি দোকানদার বাচ্চু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কার্যত আমরা পানিবন্দি। একদিকে করোনা আর অপরদিকে জলাবদ্ধতার দূষিত পানি থমকে গেছে ব্যবসা বাণিজ্য। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি জানিয়ে এলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শুধুই আশ্বাস পেয়েছি।
কটিয়াদী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবেনা।
কটিয়াদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, কটিয়াদী পৌরসভার বেশ কয়েকটি ড্রেন নিমার্ণের টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেনগুলো নিমার্ণ কাজ শেষ হলে পানি নিষ্কাশন দ্রুততর হবে। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
(ডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০)