প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরবিদ্যানন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তিস্তানদীর পশ্চিম তীরে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরবিদ্যানন্দ গ্রামে অবস্থিত। ১৯৯৮সালে ৬লাখ ৩৪হাজার ৭শত ৪৭টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ করা হয়। এর পর চরাঞ্চলের ছেলেময়েরা ওই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আসছে। বেশ কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এতে করে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়ে পশ্চিম তীরে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়।

এর ফলে ওই বিদ্যালয়টি হুমকীর মুখোমুখী হয়ে দাঁড়ায়। একারণে গত ১৭সেপ্টেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়টির জন্য সর্বসাধারণের মাঝে ওপেন টেন্ডার আহবান করে। কিন্তু টেন্ডারে কেউ এগিয়ে না আসায় বিদ্যালয়টি ওই অবস্থায় অবস্থান করে। গত শুক্রবার রাতে বিদ্যালয়টির ভবনের নিচ দিয়ে তিস্তা নদীর প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হলে ভবনটির কিছু অংশ ধ্বসে পড়ে।

শনিবার সকাল এগারো ঘটিকা থেকে ভবনের একটি অংশ ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১শত ৫০জন শিক্ষার্থীর পড়াশুনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলে বসবাসকারী অভিভাবকগণও তাদের কমলমতি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে। এব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার সরকার বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির নিলামের জন্য আবেদন করা হয়।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভবনটি ৩০হাজার টাকা নিলাম ডাক হয়েছিল। কিন্তু দেয়া না হওয়ায় অর্ধেক নদীগর্ভে ধ্বসে পড়ে।

শনিবার রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সোলায়মান আলী বলেন, টেন্ডার দেয়ার পরও কেউ এগিয়ে না আসায় ভবনটি নদীতে চলে যায়। প্রধান শিক্ষককে আসবাবপত্র ও দরজা জানালাগুলো সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান খুললে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করে চর ডিজাইন ব্লিডিং নির্মাণ করা হবে।

(পিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০)