নিউজ ডেস্ক : সিলেটে ১২৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী মুরারীচাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ) ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান ও চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই দুই আসামিকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানিকালে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা গণধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর ও অর্জুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করে বক্তব্য দেন।

তারা বলেন, ‘আমরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই। রাজন ও আইনুল ও তারেক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে।’

গণধর্ষণের ঘটনায় শনিবার সকালে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে তারেক, অর্জুন, রনি, মাসুম ও রবিউলের নাম উল্লেখ করেন। তবে রাজন ও আইনুল এজাহারভুক্ত আসামি নন। এর মধ্যে রাজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে এবং তাকে সহায়তা করায় আইনুলকে রোববার রাতে ফেঞ্চুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ এর একটি দল। এখন পর্যন্ত মাসুম ও তারেককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়।

এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। তাদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০)