উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের ঘাঁটির কংসতলা ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। তিন ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা এতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে, কংসতলা অবস্থান পরিত্যাগ করে তারা কুমিল্লায় চলে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর সুবেদার শাহজামানসহ ১৬ জন সৈন্য নিহত ও ৮ জন আহত হয়।

ফেনীতে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন পাশার নেতৃত্বে পাকসেনাদের নয়নপুর ঘাঁটির ওপর প্রথম আর্টিলারির গোলা নিক্ষেপ করে। ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বেও আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা নয়নপুরে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী নয়নপুর ছেড়ে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়।

নওগাঁয় মুক্তিবাহিনী মকলেসুর রহমান রাজার নেতৃত্বে বাগমারা থানার নিকরা ও বাইগাছায় রাজাকারদের ২টি শক্তিশালী ক্যাম্প আক্রমণ করে। এতে রাজাকারদের ক্যাম্প দু’টি ধ্বংস হয় এবং অনেক রাজাকার নিহত ও আহত হয়।

মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা সিলেটের জাফলং-এ পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত হয়।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতর ভারতের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে সরকারিভাবে পাকিস্তান দূতাবাসের ৪ জন কর্মচারীকে ফেরত দেয়ার দাবি জানায়। মূলত এসব কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারে যোগ দিয়েছিলো।

ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাহরিকে ইশতেকলাল প্রধান এয়ার মার্শাল (অব:) আজগর খান বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এম.এন.এ ও এম.পি.এ-দের অবস্থা যাই হোক আর যেখানেই তারা থাকুন সাধারণ ক্ষমাকে সম্প্রসারিত করে তাদের সবাইকে ক্ষমা এবং স্বপদে পুনর্বহাল করা উচিত। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন, তাদের ক্ষমতায় আসা উচিত।

নেদারল্যান্ডের দৈনিক “De Tud” পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর এক নিবন্ধে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এ পর্যন্ত ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের সংখ্যা ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারা পৃথিবীকে বলছে পাক প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্তানকে কি অমানবিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/পিএস/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০)