স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদের ৬১ শতাংশ সাংসদ ব্যবসায়ী। বাকি ৩৯ শতাংশ সংসদ সদস্যের মধ্যে আইনজীবী ১৩ শতাংশ, রাজনীতিক পাঁচ শতাংশ ও অন্যান্য (শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, গৃহিণী ও পরামর্শক ইত্যাদি) পেশার ২১ শতাংশ সদস্য রয়েছেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ: একাদশ জাতীয় সংসদ (১ম থেকে ৫ম অধিবেশন)’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম সংসদে মাত্র ১৮ শতাংশ সদস্যের পেশা ছিল ব্যবসা। ক্রমান্বয়ে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১৭তম লোকসভার সদস্যদের মধ্যে রাজনীতিক ৩৯ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২৩ শতাংশ, আইনজীবী ৪ শতাংশ এবং অন্য পেশার সদস্য রয়েছেন ৩৮ শতাংশ।

সংসদ সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর/তদুর্ধ্ব প্রায় ৭৭ শতাংশ। এইচএসসি সমমানের প্রায় ১২ শতাংশ, এসএসসি বা তার কম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ১১ শতাংশ সংসদ সদস্য রয়েছেন।

সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে পুরুষ ৯২ শতাংশ ও নারী ৮ শতাংশ এবং সংরক্ষিত আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৭৯ শতাংশ ও ২১ শতাংশ। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের একাংশ তাদের হলফনামায় সঠিক তথ্য (আয়ের উৎস, সম্পদের পরিমাণ, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যয়ের উৎস ইত্যাদি) প্রদান করেননি। নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০)