স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল রাজস্থান রয়্যালস। দুই ম্যাচ খেলে কোনোটিতেই হারেনি তারা। নিজেদের দুই ম্যাচেই দুইশর ওপরে রান করেছে রাজস্থান। প্রথম ম্যাচে ২১৬ রান করে জিতেছিল ১৬ রানের ব্যবধানে। পরের ম্যাচে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের করা ২২৩ রানের সংগ্রহ রেকর্ড গড়ে তাড়া করে ফেলেছে স্টিভেন স্মিথের দল।

রাজস্থানের এমন উড়ন্ত পারফরম্যান্সে বড় ভূমিকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসনের। দুই ম্যাচেই তিনি ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। উইকেটের পেছনেও দলকে এনে দিয়েছেন নির্ভরতা। তাই অনেকেই স্যামসনকে পরবর্তী ধোনি হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তবে স্যামসন নিজে এ কথা মানতে নারাজ। তার মতে, ধোনির মতো খেলার সাধ্য আর কারও নেই।

ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রাজস্থান করেছিল ২১৬ রান। সেদিন মাত্র ৩২ বলে ১ চার ও ৯ ছয়ের মারে ৭৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছিলেন স্যামসন। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে পুরো ইনিংসটাই দেখেছেন তিনি। পরে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ চার ও ৭ ছয়ের মারে ৪২ বলে ৮৫ রান করেন স্যামসন।

দুই ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ ১৬ ছক্কার মারে ২১৪.৮৬ স্ট্রাইকরেটে ১৫৯ রান করেছেন স্যামসন। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান চার নম্বরে। ওপরের তিনজনের চেয়েই একটি করে ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে এই পারফরম্যান্সের সঙ্গে আবার রয়েছে দুইটি করে ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং।

ফলে তার ভেতরে পরবর্তী ধোনির ছায়া দেখা খুব স্বাভাবিক। যেমনটা দেখেছিলেন কেরালার কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে সাঞ্জু স্যামসনকে আমি চিনি। যখন তার বয়স মাত্র ১৪ বছর ছিল, তখনই বলেছিলাম সে একদিন পরবর্তী ধোনি হবে। দেখুন, দিনটা চলে এসেছে। দুইটি অসাধারণ ইনিংসের পর সবাই দেখতে পাচ্ছে বিশ্বমানের এক খেলোয়াড় চলে এসেছে।’

তবে তার এই কথার সঙ্গে একমত নন স্যামসন। ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত কেউই তার (ধোনি) মতো খেলতে পারবে না। কারও এটা চেষ্টা করা উচিতও হবে না। ধোনির মতো করে খেলা কোনো সহজ কাজ নয়। তাই এটা আলোচনার বাইরে রাখুন।’

‘আমি নিজেও কখনও ধোনির মতো খেলতে চাইনি। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি, এই খেলাটিরও একজন কিংবদন্তি। আমি শুধু নিজের খেলায় মনোযোগ রাখি, যেটা আমি করতে পারি। আমার কাজ হলো নিজের সেরাটা দেয়া এবং দলকে বেশি বেশি ম্যাচ জিততে সাহায্য করা।’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০)