স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৪নং ওয়ার্ড রায়ের বাজার বারইখালীর রাস্তার বেহাল দশা অনেকদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা গুলো খানাখন্দে ভরা ও ছটো বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের  চলাচলে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

৩৪নং ওয়ার্ড রায়ের বাজার বারইখালীর বাড়ি মালিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কালাম শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ এর বসবাস এই বারইখালী, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এই রাস্তা দিয়ে বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ রোগিদের ও স্কুলের বাচ্চাদের যাওয়া আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

চলাচল এর অযোগ্য হওয়ায় প্রতিদিন ঘটছে ছটো থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বিকল্প কনো পথ না থাকার ফলে নিরুপায় অবস্তায় আছে বারইখালির বাসিন্দারা, স্থানীয়ও সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ৩৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কাছ থেকে পেয়েছেন সরবচ্চ আশ্বাস এবং ভরসা, কিন্তু খুবই কস্টের বিষয় অনেক বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলচনা ও লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানোর পর ও সংস্কার হয় নি, এ অবস্থায় শীত মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতেও সড়কটির খানা-খন্দে পানি জমে, মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে তিনি আরো বলেন ইতি মধ্যে অনেক গনমাধাম এ এই রাস্তার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাদের দাবি খুব শিগ্রহি যাতে এই ভোগান্তি থেকে তারা মুক্তি পায়।

ওই এলাকার বাসিন্দা আলী চৌধুরী জানান, এই রাস্তার যাতায়াতের জন্য ছোট যান চলাচল রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও অন্যান্য চলাচল করতে না পাড়ায় পায়ে হেটে পারি দিতে হয় প্রায় এক কিলো পথ সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট এতে করে সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তিনি বলেন, আমাদের এই জনজীবনের উন্নতির জন্য এই রাস্তার সংস্কার হওয়া অত্তান্ত আবশ্যক এবং এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।

ঢাকা ৩৪নং ওয়ার্ড এর সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন পলাশ বলেন, বারইখালী এই এলাকাটি মোহাম্মাদপুর, বছিলা, কেরানীগঞ্জসহ ও ঢাকার অনন্য এলাকার সাথে যোগাযোগের এর একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই আমি এই এলাকাটির ব্যবসায়িক ও সার্বিক উন্নতির জন্য এই রাস্তাটির সংস্কার অত্তান্ত জরুরী।

কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, আমি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর কাছে লিখিতভাবে তাদেরকে অবগতি করেছি। এবং খুব শীগ্রই এই রাস্তার কাজ করা হবে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কাজ শুরু হয়ে গেলে এ সড়ক উন্নয়ন কাজও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। কমে আসবে দুর্ভোগ।

স্থানীয়ওরা জানান, বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল এর কারনে রাস্তার বেবক আকারে খতিগ্রস্ত হচ্ছে তাছারা বৃষ্টির পানি রাস্তার বিভিন্ন ছোটো-খাটো গর্তে পানি জমে থাকার কারনে রাস্তা ব্যাপক আকারে নস্ত হচ্ছে, এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করার জন্য প্রায় অনুপযোগী । তাছাড়া এই রাস্তাটি যত তাড়াতাড়ি ঠিক হবে ততই আমাদের এলাকার উন্নতি হবে । আমাদের দাবি খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি পায়।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০২০)