প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ডাকযোগে ভোটের জন্য প্রতি কাউন্টিতে মাত্র একটি ‘ড্রপ-অফ পয়েন্ট’ থাকার যে বিধান গভর্নর জারি করেছিলেন আদালতের রায়ে তা আটকে গেছে। গত ৯ অক্টোবর টেক্সাসের একজন বিচারক গভর্নরের জারি করা ওই আদেশ আটকে দেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

বিচারপতি রবার্ট পিটম্যান তার রায়ে বলেন, মাত্র একটি স্থানে ব্যালট জমা দিতে হলে বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের অনেক সুবিধায় পড়তে হবে। হয়তো ব্যালট জমা দিতে তাদের অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে, ঘুরে ঘুরে ব্যালট জমা দেওয়ার পয়েন্ট খুঁজে বের করতে হবে। অথবা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে বাধ্য হভে।

যারা সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে অপারগ হন বা দিতে যেতে চান না তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার নিয়ম আছে। তবে এজন্য আগেই তাদের ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয় এবং ভোট দেওয়া শেষে সেটি একটি নির্দিষ্টস্থানে জমা দিতে হয়। এটাই ডাকযোগে ভোট। ভোটের জন্য নির্ধারিত দিনের আগেও ডাকযোগে ভোট দেওয়া যায়।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর আমেরিকার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটার ডাকযোগে ভোট দেবেন। টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট অবশ্য ভোটারদের নিরাপত্তার অজুহাতেই একটি কাউন্টিতে ব্যালট পেপার জমা দেওয়ার একটি পয়েন্ট রাখতে চেয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাটরা তার ওই আদেশকে ভোটারদের উপর ‘নিষ্ঠুর চাপ প্রয়োগ’ বলেছিল।

এ বছর প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দেওয়ার আবেদন করায় আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিনের মধ্যে ডাকযোগে পাঠানো সব ব্যালট নির্বাচন কমিশনে নাও পৌঁছাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছে ‘ইউএস পোস্টাল সার্ভিস’।

টেক্সাসে অবশ্য ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে, প্রতিবন্ধী, কারাগারে আছেন এমন ব্যক্তি বা ভোটের দিন নিজের শহরের বাইরে থাকবেন তারাই ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে মোট ৩৮টি ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট রয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০২০)