মিলন কর্মকার রাজু : মেধাবী হাসানের শিক্ষা জীবন থমকে দাড়ানোর উপক্রম হয়েছে। এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও তার মুখে হাসি নেই। ঘরে বাবা ও বোন অসুস্থ্য। আর্থিক সংকটে তাদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ঘরে যে খাবারই নেই। প্রতিদিন তাদের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে তার ভাইকে গ্রামের বাজারে দর্জির কাজ করতে হচ্ছে।

হাসান একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নটি এখন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের দরিদ্র সত্তার মোল্লার তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় হাসান।

এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেলেও আর্থিক সংকটে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। লজিং থেকে নিজের ও পরিবারের খরচ চালিয়ে এ সাফল্য ধরে রাখলেও উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না হাসান। যেখানে টাকার জন্য বাবা ও বোনের চিকিৎসা করাতে পারছেন না সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন কিভাবে।

হাসানের মা বলেন, ঘরে নুন আনতে পানতা ফুড়ায় অবস্থা, এর মধ্যে মোরা পোলারে ল্যাহাপড়া করামু ক্যামনে। তার স্বপ্ন ছিলো ছেলে বড় হয়ে আইন বিষয়ে লেখাপড়া করবে। কিন্তু কে ভর্তি করাবে হাসানকে। তার ভাবনা দেশের এতো মানুষের মধ্যে কেউ কি তার ছেলের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ১৭, ২০১৪)