সিলেট প্রতিনিধি: বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে রবিবার আয়োজন করা হয় ‘বাংলালিংক ৭ম সিলেট বিভাগীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’। এ উপলক্ষে সিলেট নগরী সংলগ্ন কিনব্রিজ আর সুরমা নদীর দুপাড়ে যেন মেলা বসে। দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালির সঙ্গে ‘হেই মারো মারো টান হেইও’র সুরে এগিয়ে চলছিল নানা রঙের নৌকো।

রবিবার ইট-পাথরের সিলেট নগরীর মানুষরা ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে যান ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইল এমন দেখা যায়...’ গানের সুরে। জনপ্রিয় নানা গানের সুর, করতালের ঝনঝনানি আর দর্শকের করতালিতে যেন প্রাণ ফিরে পায় সুরমা নদী। ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ দেখতে সুরমার দুতীরে নেমেছিল মানুষের ঢল। রংবেরঙের বাহারি নৌকা, বাদ্যযন্ত্র, নাচ-গান আর মাঝিমাল্লাদের শোর-চিত্কার সব মিলিয়ে সুরমা নদীতে বইছিল উত্সবের আমেজ।

বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলালিংক ৭ম সিলেট বিভাগীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় তিন গ্রুপে ১২টি নৌকা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় এ-গ্রুপে এখলাছুর রহমান প্রথম, রমিজ উদ্দিন দ্বিতীয় ও বখতিয়ার হোসেনের নৌকা তৃতীয় হয়।

বি-গ্রুপে প্রথম সাইদুর রহমান, দ্বিতীয় আমির আলী ও আতাউর রহমানের নৌকা তৃতীয় স্থান লাভ করে।

সি-গ্রুপে মজর আলীর নৌকা প্রথম, আবদুস সালামের নৌকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় সুলেমান আলীর নৌকা।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ১৭, ২০১৪)