রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বেদড়ক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি তার অফিসের এক অফিসারকে মারপিট দেওয়ার মামলার স্বাক্ষী ছিলেন।

ঘটনাটি রবিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধায় পৌর শহরের বন্দর বাজারে ঘটেছে। মারপিটের শিকার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত সাদেকুলের বাড়ী পৌর শহরের মহিলা ডিগ্রী কলেজ সংলগ্নএলাকায়।

আহত সাদেকুল সাংবাদিকদের জানান, পৌর শহরের বন্দর বাজারে ব্যক্তিগত কাজে একটি দোকানের ভিতরে বসে ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে মারপিট করার চলমান মামলার দ্বিতীয় আসামী লেমন এসে আমাকে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে হেচঁড়ে বের করে। স্থানীয়রা আমাকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে লেমন বলে, এই সাদেকুল আমার মামলার স্বাক্ষী তাকে স্বাক্ষী হওয়ার স্বাদ আজ আমি মিটাবো।

সাদেকুল জানান, সে-আমাকে এলোপাথারি পেটাতে শুরু করে। আমি যেন কাউকে ফোন না দিতে পারি এ জন্য আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে আমার অফিস স্টাফ ও পরিবারের লোকজন এসে আমাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে উদ্বারের সময় লেমনের হাতে কৃষি অফিসের নয়ন নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মি আহত হয়েছে। সেও বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে বলে মনে হচ্ছে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই সড়কে সাইড নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায়কে মারপিট করে। পৌর শহরের ভান্ডারা গ্রামের মৃত আম্বর হাজ্বীর ছেলে ফারুক হোসেন(৩৫) ও একই এলাকারা আবুল কালামের ছেলে লেমন হোসেন(৩২)। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন মারপিটের শিকার হওয়া সাদেকুল ইসলাম। তবে আসামী দুজন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

আহত সাদেকুলের ভাই উপজেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাটির সঠিক বিচার আমরা চাই। এর আগেও আমার ভাইয়ের এক স্যারকে এরা মেরেছে। সেই মামলায় আমার ভাই স্বাক্ষী হিসাবে থাকায়। তাকেও এভাবে মারপিট করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।

তবে অভিযুক্ত লেমনের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি নিশ্চয় দুঃখজনক। আমরা মামলা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, এখন পর্যন্ত তারা মামলা দেয়নি থানায়। তার পরেও আসামী ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

(কেএ/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০২০)