স্টাফ রিপোর্টার : গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮১ জনে।

দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে তিনজন ও বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন। তবে এ সময়ে খুলনা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

এ পর্যন্ত করোনায় মৃত পাঁচ হাজার ৬৮১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৯০৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ১৩৮ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৬৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৫৭ জন, সিলেট বিভাগে ২৪০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯৭ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯৭ জন রয়েছেন।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৩৭ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৯০ হাজার ২০৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।

রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৩৭১ জন (৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৩১০ জন (২৩ দশমিক ০৬ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)