ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : অররুদ্ধ পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে বাধা, পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি ও সাংবাদিকদের সাথে ওসি’র অসৌজন্য আচরণের ঘটনায় ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার রাতে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভায় এনএম ইসলাম নামে কথিত অস্ত্রধারীর অস্ত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ও গ্রেফতার এবং ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিনের অসৌজন্য আচরনের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।

প্রেসক্লাবের জরুরি সভায় বলা হয়, আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন আহম্মেদ মঞ্জিলে পুলিশ ও সন্ত্রাসী দ্বারা অবরুদ্ব নির্যাতিতা সাহিনা আক্তার নামে এক বিধবা পরিবারের প থেকে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকরা যথা সময়ে সেখানে উপস্থিত হলে ওই বাড়ির জনৈক ব্যক্তি নুরুল ইললাম ওরফে এম এন ইসলাম বাড়ির প্রধান দরজায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধাগ্রস্থ করে এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু ও সিনিয়র সাংবাদিক এম এ কাদেরকে ধাক্কা মেরে পিস্তল উঁচিয়ে বলে, এই মুহুর্তে আপনারা না গেলে গুলি করে মেরে ফেলবো। এ সময় উপস্থিত সকল সাংবাদিক ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এমএন ইসলাম ও তার ছেলে প্রীতম আরও উগ্র হয়ে উঠে। এসময় ঈশ্বরদী থানার ওসিকে ফোন করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে এমএন ইসলামের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বের হয়ে যেতে বলেন।

সাংবাদিকরা এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসক্লাবে তাৎক্ষনিকভাবে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়। সভায় এনএম ইসলাম নামে কথিত অস্ত্রধারীর অস্ত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ও গ্রেফতার এবং ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিনের অসৌজন্য আচরনের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছে। দাবী মানা না হলে সাংবাদিকরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘটনায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ, ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুল আলম, আটঘোরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাসিদ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজুর রহমান ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন । তাঁরা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)