টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের  মেসার্স লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে বুধবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। শহরের বিলঘারিন্দাস্থ লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরীর সামনে দুই শতাধিক শ্রমিক তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক সমিতির লাকী বিড়ি শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরজু মিয়া, বিড়ি শ্রমিক ছখিনা বেগম, আরতি দাস প্রমুখ।

টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত ওই ফ্যাক্টরীতে কাজ করছেন। মালিকের ইচ্ছে হলো আর ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করলেন তা হতে পারেনা। শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে।

মেসার্স লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. শাহজাহান মিয়া জানান, টাঙ্গাইলে তারা ছাড়া সব বিড়ি ফ্যাক্টরীতে নকল ও পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে প্রতি প্যাকেট ৮-১০ টাকায় বিক্রি করছে। লাকী বিড়ি প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা হওয়ায় বাজারে টিকতে পারছেনা। বাধ্য হয়ে ফ্যাক্টরী বন্ধ করতে হয়েছে।

টাঙ্গাইল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আহমেদ সোলায়মান জানান, লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরীর নামে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করলে আমাদের কিছু করার নেই। অন্য বিড়ি ফ্যাক্টরীগুলোতে নকল বা পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে এক ডজনেরও বেশি ফ্যাক্টরীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত সন্তোষজনক।

প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলায় মোট ২১টি বিড়ি ফ্যাক্টরী রয়েছে। লাকী বিড়ি ব্যতিত সব বিড়িতে নকল ও পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে প্রায় অর্ধেক মূল্যে বিড়ি বাজারজাত করায় লাকী বিড়ির মার্কেট পড়ে গেছে। সেজন্য মেসার্স লাকী বিড়ি কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করে এবং গত ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেন। এতে ফ্যাক্টরীতে কর্মরত দুইশ’ নিয়মিত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।

(আরকেপি/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০২০)