নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি সভা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও উপকূলীয় অঞ্চল সংলগ্ন জেলায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রত্যেক জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের পাশাপাশি এসব কেন্দ্রে শুকনা খাবার এবং শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা ও জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় প্রশিক্ষিত ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী বাহিনীও দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র : বাসস।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২০)