উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাহাদাতের কাছে ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বানী নিয়ে বিশেষ দূতের কায়রো উপস্থিতি।

কসবার মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। কুমিল্লা সীমান্তে কসবা ছাড়াও কায়েমপুর, সালদানদী, নয়নপুর ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় উভয় দলের মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। সিলেট, ময়মনসিংহ,রংপুর, বগুড়া ও যশোর সীমান্তেও সারাদিন যুদ্ধ চলে।

মুজিবনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিবেশনে সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রশ্নের সমাধানের লক্ষ ঘোষণা করা হয়। উক্ত ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রশ্নের একমাত্র সমাধান হচ্ছে জনগণের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’। বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নিকট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়। কার্যনির্বাহী পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য বিশ্বের সকল দেশ ও জাতিসংঘকে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে যে ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার শপথ নিয়ে এই পরিষদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে, নির্বাচন তো দূরের কথা স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে তথাকথিত পাকিস্তানিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বাঙালি জাতি ও আওয়ামী লীগ কিছুতেই সহ্য করবে না। হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে গণহত্যা, পাশবিক অত্যাচার ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে পরিষদ বিশ্ব মানবতার কাছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানায়। কার্যবর্িাহী পরিষদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, তারা শরণার্থীদের নিজগৃহে ফিরিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। তারা আরো জানায় যে, ভারত-সোভিয়েত চুক্তিতে বাংলাদেশের সমস্যার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেসব দেশ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছে সেই দেশের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/পিএস/অক্টোবর ২৬, ২০২০)