শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : গমের আরো নতুন দু’টি জাত অবমুক্ত করেছে,বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট। ডাব্লিউএমআরআই গম-ওয়ান এবং ডাব্লিউএমআরআই গম-টু ব্লাস্ট নামে রোগ সহনশীল দু’টি তাপ সহনশীল জাত অবমুক্তের মাধ্যমে গম চাষে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে। আরো আরেকটি নতুন জাত ডাব্লিউএমআরআই গম-থ্রি উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা চলছে। যা শীঘ্রই অবমুক্তের সম্ভবনা রয়েছে।এরই মধ্যে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ গমের উচ্চফলণশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন  ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে কৃষক এখন গম চাষে বেশি ঝুকছেন। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে গম চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। 

দিনাজপুরস্থ বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটের “বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন” তিন দিনব্যাপী কর্মশালায় জানানো হয়েছে,গমের আরো নতুন দু’টি জাত অবমুক্ত করেছে।ডাব্লিউএমআরআই গম-ওয়ান এবং ডাব্লিউএমআরআই গম-টু ব্লাস্ট নামে রোগ সহনশীল দু’টি তাপ সহনশীল গমের নতুন জাত অবমুক্ত করা হয়েছে,গত সেপ্টেম্বর মাসে। এমনটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদদ প্রকৌশলী ড.এছরাইল হোসেন।

তিনি জানান,,বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ পর্যন্ত ৩৬টি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে।এর মধ্যে গমের ব্লাষ্ট প্রতিরোধি ও জিং সম্মৃদ্ধ জাত বারি গাম ৩৩বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইনষ্টিটিউট ডাব্লিউএমআরআই গম ওয়ান এবং ৯ সেপ্টেম্বর ডাব্লিউএমআরআই গম টু ব্লাস্ট রোগ সহনশীল নামে দু’টি তাপ সহনশীল জাত অবমুক্ত করেছে। এছাড়ার ভুট্রার নতুন ১৯টি হাইব্রিড জাত ও ৭টি ওপেনপলিনেটেড কম্পোজিট জাত উদ্ভাবন করেছে।

সরজমিনে পরিদর্শনে এসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কমলারঞ্জন দাশ জানান,নতুন নতুন গম ও ভুট্রার জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে, বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট। তাদের উদ্ভাবিত রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত কৃষকের দ্বারপ্রান্তে পৌছায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।

উত্তরাঞ্চলের অনগ্রসর বিলুপ্ত ছিট মহলগুলো ঘুরে দেখা গেছে,পতিত ও অনাবাদি জমিতে কৃষক গম ও ভুট্রাচাষে বেশি আগ্রহী। পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহল রাজমহলের কৃষক মোকাররম হোসেন জানান, ধানসহ অন্য ফসলের চেয়ে গম চাষে সেচ কম লাগে তেমনি খরচও কম। তাছাড়া ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী নতুন জাতের গম চাষে তারা শংকামুক্ত হয়েছেন।
তাপসহনশীল বিডাব্লুউএমআরআই-ওয়ান এবং বিডাব্লুউএমআরআই-টু নামে গমের নতুন জাত দু’টি কৃষকদের সরবরাহ করা হলে আগামীতে গমের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মূলতঃ গম ও ভুট্রার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট।তাদের এই সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা।তাদের এই জাতগুলো কৃষকের দ্বারপ্রান্তে পৌছালে এ অঞ্চলে গম ও খুট্রার চাষাবাদ আরো রেড়ে যাবে এমনটাই মনে করছেন,সংশ্লিষ্টরা।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২০)