স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর ভারতের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। ভারতের দেয়া এয়ার বাবল প্রস্তাবে রাজী হওয়ায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) থেকে ফ্লাইট চালু হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১২ মার্চ থেকে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রোগী ও আটকেপড়া উভয় দেশের নাগরিক। সম্প্রতি দুই দেশের সমঝোতার ভিত্তিতে সপ্তাহে ৫৬টি ফ্লাইট চলবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, পর্যটক ছাড়া ৯ ক্যাটাগরির যাত্রীরা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এছাড়া চিকিৎসা ভিসায় একজন রোগীর সঙ্গে তিনজন সহযোগী যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে।

বেবিচক জানায়, বাংলাদেশের তিনটি ও ভারতের ৫টি বিমান সংস্থা কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই ও মুম্বাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়া ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং গোএয়ার নামে ৫টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে ও ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন এবং কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের ফ্লাইটগুলো চালু করা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২০)