রাজন্য রুহানি, জামালপুর : যৌতুকের জন্য স্বামীর পরিবারের লোকজনদের অমানুষিক প্রহারে ২৫ বছর বয়সী স্ত্রী আকলিমা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রাশেদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন শ্বশুর শাশুড়িসহ বাড়ির লোকজন। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চরপাকেরদহ গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।

হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় স্বামী রাশেদুল ইসলাম (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে বাড়ির অন্য সদস্যরা।

সকাল সাড়ে ১১ টায় নিহত আকলিমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে আসামি করে সন্ধ্যায় মাদারগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই রেজাউল ইসলাম।

নিহতের পিতা রহিজল শেখ জানান, যৌতুকের জন্য প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করত রাশেদুল। শ্বশুর-শাশুড়িও ওর গায়ে হাত তুলতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েকে আনতে যাই। ৩ মাস পার হলেও তারা নাইওয়ের জন্য মেয়েকে ছেড়ে দেয়নি। প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে সকাল ৯ টার দিকে ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ওরা আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাকেরদহ গ্রামের রহিজল শেখের মেয়ে আকলিমার সাথে আব্দুল জব্বারের ছেলে রাশেদুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য দুই পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিল। এ নিয়ে বুধবার রাতে স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান, ধারণা করছি যে পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাশেদুলকে আটক করা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেলে রাশেদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগে নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(আরআর/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২০)