বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে ২২ বছর বয়সী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার বারুইপাড়া ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমানসহ ৫ জনকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের ডিএনএ টেষ্টের আবেদনও মঞ্জুরছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবীর পারভেজের আদালতে এই আবেদন করা মঞ্জুর করে।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামীরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (১৯), নারায়ন চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) এবং মোঃ আনোয়ার ফকিরের ছেলে মো. সোহেল ফকির (২৩)।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার ওই তরুনী ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে থেকে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন মন্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজার থেকে রাতে ভ্যানযোগে বাড়ি রওনা দেয়। রাত দশটার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌছালে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান তার গতিরোধ করে এত রাতে আসার কারণ জিজ্ঞাস করে। একপর্যায়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে বাকপুড়ায় অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই তরুনীকে সেখানে রেখে চলে যায়।

পরে মেয়েটিকে একা ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে দেখে ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, মো. সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন হদেরহাট বাজারস্থ আবুল হোসেনের বিল্ডিংয়ের পিছনে নিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এক বছর আগে আর্থিক কষ্টের কারণে মেয়েটি গার্মেন্টসে কাজ শুরু করে। পূজার ছুটিতে বাড়িতে এস ধর্ষনের শিকার হয়।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২০)