কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লস্করপুর গ্রামে তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননী সালমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার মামলার প্রধান অভিযুক্ত স্বামী এমাদুলকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড বুধবার মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ও মামলার বিবরন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর সালমাকে দিনভর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী এমাদুল সালমার বামচক্ষু বরাবর মুখমন্ডলে ইটের বেধড়ক আঘাত করে। গভীর রাতেই সালমা মারা যায়। হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে সালমার মৃতদেহের গলায় রশি বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে অপপ্রচার চালানো হয় আত্মহত্যার।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর নিহত গৃহবধুর বাবা সোহরাব গাজী কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ সালমার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করেন স্বামী এমাদুলকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে এমাদুলকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মামলার সঠিক তদন্ত পূর্বক আদালতে শীঘ্রই চার্জশিট দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের খালেক আকনের ছেলে এমাদুলের সঙ্গে তালতলী উপজেলার ছাতনপাড়া এলাকার সোহরাব গাজীর মেয়ে সালমা আক্তারের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালমার বাবা মেয়ে জামাইকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা স্বর্ণলঙ্কারসহ তিন লাখ টাকার মালামাল দেয়। বিয়ের তিন বছর পরেই এমাদুল মাহেন্দ্র গাড়ি কেনার অজুহাতে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ দাবী মেটাতে না পারায় শুরু হয় নির্যাতন ও মারধর। যার শেষ পরিণতি জীবন দিতে হয়েছে।

(এমকে/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২০)