বরগুনা প্রতিনিধি : বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে সামান্য কথার কাটির জের ধরে ভরদুপুরে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন আব্দুস সাত্তার সিকদার। এরপর টানা চল্লিশ বছর তাঁর হদিস পায়নি পরিবারের স্বজনরা । ২০ বছর বয়সী আবদুস সাত্তারকে মৃত ভেবে এ দীর্ঘ সময়ে পরিবারের স্বজনরা শোকও কাটিয়ে ওঠেন। একসময় অভিমানে গৃহত্যাগী সাত্তারকে পরিবারের সবাই ভুলে যান। কিন্তু হঠাৎ করে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের নিরুদ্দেশ থাকা সত্তার ভরদুপুরে বাড়িতে ফিরে এসে পরিবার ও গ্রামবাসিকে বিস্মিত করে দেন।

বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামের মৃত সবেদ আলী সিকদারের ছোট ছেলে আবদুস সাত্তার টানা চল্লিশ বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর গত চারদিন আগে বাড়ি ফিরে আসেন। এতে ভূক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসির মধ্যে মহা আনন্দের সৃষ্টি করেছে। গ্রামের কৌতুহলী মানুষ সত্তারকে এক নজর দেখতে ভিড় করছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,বামনা উপজেলার রামনা ইউনিযনের অযোধ্যা গ্রামের মৃত সবেদ আলী সিকদারের চার ছেলে। চার ছেলের মধ্যে আব্দুস সাত্তার সবার ছোট। তার মেজ ও সেঝ ছেলে মারা গেছেন। কেবল বেঁচে আছেন বড় ছেলে আব্দুল হামিদ সিকদার। এদের মধ্যে ছোট ছোট ছেলে আব্দুস সাত্তার বড় ভাইযের স্ত্রীর সাথে ২০ বছর বয়সে ঝগড়া করে রাগে অভিমানে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। এরপর টানা ৪০ বছর তিনি নিরুদ্দেশ। পরিবারের স্বজনরা তাঁর অপেক্ষায় থেকে ধরে নেন নিরুদ্দেশ সত্তার হয়ত আর বেঁচে নেই।
সাত্তার বলেন,সামান্য অভিমানে ৪০ বছর জীবন থেকে ঝরে গেছে। আমি এখন পরিবারের স্বজনদের নিয়ে নতুন করে বাঁচতে চাই।
(এমএইচ/এএস/আগস্ট ১৮, ২০১৪)