লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর বাজারে আখ কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে ৬ গ্রামবাসীর মধ্যে  সংঘর্ষে ৬ জন পুলিশসহ ৪৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ওই বাজারের ২৫ টি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে।

সংঘর্ষে আহতদেরকে স্থানীয় ক্লিনিক, নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিকে গ্রেফতার আতংকে মিঠাপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকা পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ,রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে লোহাগড়ার উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর বাজারে আখ বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে মিঠাপুর গ্রামের মোসলেম ফকিরের ছেলে কায়েম ফকিরের সাথে পার্শ্ববর্তী বিল ডুমুরতলা গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে আবু তালেবের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি আঞ্চলিক ইস্যুতে পরিনত হয়ে নড়াইল সদর উপজেলার বিল ডুমুরতলা, হাড়িগড়া ও বাগডাঙ্গা গ্রামবাসী এক পক্ষ এবং লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর, নখখালী এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মশাখালী গ্রামবাসী আরেকটি পক্ষে জোটবদ্ধ হয়ে মিঠাপুর ব্রীজের দুপাশে ঢাল, সড়কি, রামদা, ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ৬ জন পুলিশসহ দু’পক্ষের ৪৫ জন আহত হয়। আহতরা হল পুলিশ কনষ্টেবল আবুল কাশেম, জিন্নাহ মোল্যা, অহেদ, জাকির, মহিবুর,শফিক,ফরিদ,নাজমুল,আনিস, কোবাব,কবির,আলামিন,আলিম, বারিক,কাউয়ুম,ওদুদ, খুররোম, রকিব, সুজন, নয়ন, নান্নু , নাজমুল, সাবু ও ইস্রাফিল । আহতদেরকে স্থানীয় ক্লিনিক, নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নলদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আইয়ুব আলী জানান, সংঘর্ষের সময় দুপক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে কম বেশি ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। গুরুত্বর আহত পুলিশ কনষ্টেবল আবুল কাশেম কে (৪৮) প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লোহাগড়া থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এ দিকে, গ্রেফতার আতংকে মিঠাপুরসহ আশপাশের গ্রাম গুলো পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সুভাস বিশ্বাসের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন নাই।
(আরএম/এএস/আগস্ট ১৮, ২০১৪)