রূপক মুখার্জি, নড়াইল : কুষ্টিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের মশাঘুনী ও দাসেরডাঙ্গা গ্রামে। বুধবার সকালে লোহাগড়ায় ও যশোরে নিহত ৫ জনেরই দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, এ্যাম্বুলেন্স চালক দাসেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মোল্যার ছেলে টিপু মোল্যা(৪০) , লোহাগড়া তেল পাম্প এলাকার গ্যারেজ মিস্ত্রী মশাঘুনী গ্রামের আব্দুল ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মফিজুর রহমান (৪৮), স্ত্রী নাদিয়া আরোবী(৩৪) ছোট ছেলে রিফাত রহমান (১৪) ও মফিজুরের শ্যালক আলিম শেখ (৪৫)। এ সময় আহত অপর শ্যালক ইনছান (৫২)কে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার(৩ নভেম্বর) সকালে মফিজুর রহমান নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সসহ চালক টিপু মোল্যাকে সাথে নিয়ে মানষিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী নাদিয়া আরোবী কে পাবনা মানসিক হাসপাতালে আনতে যায়। সেখান থেকে দুপুরে নাদিয়াকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স যোগে লোহাগড়ায় ফেরার পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া এলাকায় পৌছালে অপর দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় এ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৫জন যাত্রী নিহত হয় ।

বুধবার ভোরে লক্ষীপাশাস্থ আল মারকাজুল মসজিদ চত্বরে নিহত গ্যারেজ মিস্ত্রি মফিজুর রহমান ও সকাল ১০ টায় একই স্থানে মোঃ টিপু মোল্যার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে নিহত টিপুকে লক্ষীপাশা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে নাদিয়া আরোবী, ছোট ছেলে রিফাত রহমান ও মফিজুরের শ্যালক আলিম শেখের পৈত্রিক বাড়ি যশোরে কাজীপাড়ায় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। পরে তাদেরকে যশোরের কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ্যাম্বুলেন্সের ৫জন যাত্রী নিহতের ঘটনায় লোহাগড়ার মানুষজন শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০২০)