টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাদতলা গ্রামে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত-পা বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতেই ধর্ষকের সহযোগী সুমী বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। 

স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার(৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিবেশির বাড়িতে বেড়াতে যান। এর কিছুক্ষণ পর একই এলাকার কামাল শিকদারের ছেলে রতন মিয়া ওই বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবেশি চাচি সুমী বেগম ওই কিশোরীকে কেক খাওয়ায়। পরে কিশোরী পানি পান করতে চাইলে চাচি তাকে বাঁধা দেয় এবং রতন মিয়াকে ঘর থেকে পানি এনে দিতে বলেন। রতন মিয়া পানি এনে পান করানোর কিছুক্ষণ পরই ওই স্কুলছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশি চাচি সুমী বেগমের সহযোগিতায় হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রতন মিয়া চলে যায়।

এদিকে মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বড় বোন ও মা তাকে খুঁজতে গেলে চাচি সুমী বেগমের ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট রতন মিয়া ধর্ষিতার মায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান এবং কাউকে কিছু না জানানোর অনুরোধ করেন।

অপরদিকে, স্থানীয় মাতব্বররা তিন দিন মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে রতন মিয়া ও প্রতিবেশি চাচি সুমী বেগমকে আসামি করে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করেন।

দেলদুয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, ওই ঘটনায় ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ধর্ষক ও সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আদালতে নির্যাতিতা ছাত্রী ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০২০)