অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরাঙ্গনা পারুল রানীর (৯০) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় পাথরঘাটা উপজেলার নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) পারুল রানী মিস্ত্রীকে (৯০) যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা, পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শাহাবুদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ খালেকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হয় তাকে।

এর আগে গতকাল (০৫ নভেম্বর) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের সময় পাথরঘাটার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দুই ছেলে দুই মেয়েসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্বামী মনোহর মিস্ত্রী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ছেলে মনমথ মিস্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীরা পারুল রানীর স্বামী মনোহর মিস্ত্রী, তার ভাই কর্নধর মিস্ত্রী ও তাদের প্রতিবেশী মতিউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও পাকহানাদার বাহিনীরা তাদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তার ছেলে মনমথ মিস্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পারুল রানীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে মা দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের তিনি দেহত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমার মা, বাবা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না। মারা যাওয়ার আগে প্রতি মুহূর্ত তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছিলেন। আমার মা ২০১৮ সালে ২৫ নভেম্বর বীরাঙ্গনা ভাতাপ্রাপ্ত হন।

(এটি/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০২০)