বিশেষ প্রতিবেদক, দিনাজপুর : কৃষি মন্ত্রণায়ের সচিব মো.মেজবাহুল ইসলাম বলেছেন,ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণা বাড়াতে হবে। আবার শুধু উৎপাদন বাড়ালেই চলবেনা,রপ্তানিও বাড়াতে হবে। আর তাই বর্তমান সরকার গবেষণা ও উৎপাদনের পাশাপাশি রপ্তানি বাড়িয়েছে।

শনিবার বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘গম ও ভুট্রা উৎপাদনের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জসমূহ ও সম্ভাবনা’শীষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যেতিনিএ কথা বলেন।

দিনাজপুরস্থ বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটে সেমিনার কক্ষে ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ড.মো.এছরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মাহফুজ হোসেন মিরদাহ, ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো.আবু জামান সরকার, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো.রদিউজ্জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.আব্দুল হাকিমসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষিবিদ, বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অংশ নেয়।

কর্মশালায় বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটে সেমিনার কক্ষে ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ড.মো.এছরাইল হোসেনের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশে দিন দিন গম ও ভুট্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৩৬টি উচ্চ ফলনশীল গমের জাদ উদ্ভাবন করেছে। গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধিী ও জিংক সমৃদ্ধ জাত বারি ৩৩ সহ ডব্লিউএমআরআই-১, ডব্লিউএমআরআই-২ এবং ডব্লিউএমআরআই-৩ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ভুট্রার ১৯টি হাইব্রিড জাত এবং ৭টি ওপেন পলিনেটেড কম্পোজিট জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

অন্যদিকে,শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট আয়োজিত ‘দিনাজপুর অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিকে করণীয়’শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায়্ কষি মন্ত্রণায়ের সচিব মো.মেজবাহুল ইসলাম প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন।

দিনাজপুরের বাঁশের হাটস্থ ব্রাক লার্নিং সেন্টাওে এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-ব্রি’র মহা-পরিচালক ড.মো.শাহবাজাহান করীর।

এছাড়াও এর আগে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গম ও ভুট্রার বীজ বিতরণ করেন। সেই সাথে ইনষ্টিটিউর চত্বরে রোপণ করেন বৃক্ষ চারা।

(এস/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০২০)