খুলনা প্রতিনিধি : গোপনে রাতের অন্ধকারে অফিস সহকারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মে লিপ্ত থাকার সময় হাতেনাতে ধরা খেয়ে গণপিটুনি খেয়েছেন মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা। গণপিটুনীর পর গভীর রাতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা শুনেছেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রবিবার রাতে খুলনার কয়রা উপজেলার কালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে ওই দুইজন কালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের দেখে সন্দেহ করেন। পরে আরও কয়েকজন যুবক একত্রিত হয়ে স্কুলঘরে গিয়ে স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে ওই অফিস সহকারীকে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের গণধোলাই দেয়।

বিয়ে পড়ানোর কথা বলে পরে তাদের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গভীর রাতে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সব টাকা রাতে পরিশোধ করতে না পারায় লম্পট অফিস সহকারীর মোটরসাইকেলটি আটকে রাখা হয়। সোমবার সকালে বাকি টাকা পরিশোধের পর মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান, ‘অনৈতিক কাজের বিষয়টি আমাদের কানে এসেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ওই শিক্ষিকা ও অফিস সহকারীকে নোটিশ পাঠানো হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৮, ২০১৪)