রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরে এক সংখ্যালঘু মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীর জমি এলাকারই একটি কুচক্রি মহল অবৈধভাবে দখল করে রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে প্রতিকার চাইলে উল্টো মেয়র এবং তার লোকজনেরও রোষানলের স্বীকার হয়েছেন ওই পরিবারটি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে নিজ জমি রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। 

রবিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবে ওই বিধবা নারী ও তার কলেজ শিক্ষক সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধার জামাই এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার ওই বিধবা স্ত্রী শিবানী বোস ও তার সন্তান শুভেন্দু বোস জানান, মহানগরীর খামারপাড়া মুরগি ফার্ম এলাকায় অবস্থিত আলমনগর মৌজার জে.এল. নং ৯৬. দাগ নং ৩৭০৬ সাবেক খতিয়ান ১১৩৭ এবং বর্তমান খতিয়ান ১১০১ এ মোট সাড়ে ৮ শতক জমি ১৯৮৮ সালে রেজিষ্ট্রিমূলে কিনে নিয়ে সেখানে একটি ছাত্রাবাস করেন। গত ২ নভেম্বর তারা তাদের অবশিষ্ট ফাঁকা জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করলে তাদের জমির পেছনেই সরকারী খাস জমি লীজ নিয়ে বসবাসকারী আমির হোসেন, মনু মিয়া, মো: কাদের মিয়া মোছা: বেখা বেগমসহ বেশ কয়েকজন তাদের ঘর তুলতে বাঁধা দেয় এবং উত্তর দিকের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে।

ওই মহলটির চলাচলের রাস্তা সংকুচিত থাকায় চক্রটি সম্প্রতি শিবানী বোসের ক্রয়কৃত জমির ওই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে তাদের সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে। এতে তারা বাঁধা দেয়ায় বর্তমানে চক্রটি তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে থানা পুলিশেরর দ্বারস্থ হলে পুলিশ গত ৪ নভেম্বর থানায় উভয়পক্ষকে ডাকলেও প্রতিপক্ষরা থানায় হাজির হয়নি। উপরোন্ত তারা বিভিন্ন লোকজন দিয়ে তাদের নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শিবানী বোস ও তার সন্তান।

পরে তারা সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার হস্তক্ষেপ কামনা করলে মেয়র ও তার লোকজন উল্টো খাস জমিতে বসবাসকারীদের পক্ষ নিয়েই কথা বলেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় এই অসহায় পরিবারটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে আক্ষেপ করে বলেন এ দেশে সংখ্যালঘুদের জন্য কী কোন আইন কিংবা বিচার নেই। আর তাই তারা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

(এম/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০২০)