কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের চরম আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে তার অফিসে থাকা দালারদের হাতেও। আজ না কাল এভাবেই সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে চলছে ভুমি অফিসের কার্যক্রম। দেখে বুঝার উপায় নেই এ যে এ নরক পুঞ্জির  অফিস। ঘুষ নিয়েও অনেকের কাজ করে দিচ্ছে না ওই উপ-সহকারী কর্মকতা। কর্মকতার সাথে কথা বলতে গেলে ও ঘুষ দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

সুত্র জানায়, ২০১৭ সালের থেকে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বভার গ্রহন করেন তিনি । নিজ এলাকায় তার বাড়ী হওয়ার কারনে তার ঘুষের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলছে। সরকারী চাকুরি বিধিতে বলা আছে একজন কর্মকর্তা কর্মচারী ২বছরের অধিক একই এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কিন্তু দু:খজনক হলেও ওই কর্মকতা একই অফিসে সাড়ে তিন বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে কিন্ত অজ্ঞাত কারনে কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করছে না।

সুত্র আরো জানান,ভুমি অফিসে কাজ করতে আসা ভুক্তভুগি ব্যাক্তিরা অভিযোগ করেন, কাপাসিয়া সদর এই ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া জমির খাজনা দেয়া যায় না। ৩শত টাকা খাজনা কাটতে গেলে অতিরিক্ত ৭শত থেকে ৮শত টাকা দিতে হয়। অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে খাজনা নেয়া হয় না। আর যে কোন ব্যাক্তি খারিজের জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা দিতে হয় ওই কর্মকতাকে। অফিসের চাহিদা না মিটলে সেই জমি আর খারিজ করে দেয়া হয় না। তাছাড়া এক জনের জমি অন্য জনের নামে খারিজ করে দেয়ায় বিস্তর অভিযোগ ওই কর্মকতার বিরুদ্ধে। তাজ উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তার খারিজ করতে হয়েছে।

এলাকার নাজমুল নামে এক ভুক্তভুগি জানান, তার মা‘র জমি মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অন্য জনের নামে খারিজ করে দিয়েছে। এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্তে করলেই তার বিরুদ্ধেঅভিযোগ গুলো বের হয়ে আসবে বলে ভুক্তভুগীদের আশা। ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সদর ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে ওই সব অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন।

(এসকেডি/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০২০)