স্টাফ রিপোর্টার : সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই অতীতে অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১১ নভেম্বর) নিয়মিত সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, মৎস্য ভবন, শাখারী বাজার, নয়াবাজার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢাকা-ডেমরা রোডের টোল প্লাজা এবং ঢাকা মেডিকেল সংলগ্ন নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, আমি মনে করি সরেজমিনে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা দরকার, যথার্থতা যাচাই করা দরকার। কারণ, অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছিল যেগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। সুতরাং এভাবে যত্রতত্র যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়, আমরা পরবর্তীতে দেখি সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়নও হয় না এবং কার্যকরীও হয় না।

মৎস্য ভবনের পাশে ও হাইকোর্টের সামনে এবং পুরান ঢাকার জজ কোর্টের সামনে নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজ দুটির বিষয়ে তিনি বলেন, বাকি বেশ কয়েকটির কাজ এখনও শুরু হয়নি। দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে এবং অনেকগুলো প্রকল্পের দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজই হয়নি। যেমন আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, ঢাকা মেডিকেলের সামনের এই ফুট ওভারব্রিজটি নির্মাণের কাজ এখনও শুরুই হয়নি বলা যায়। এমন দুটি ফুট ওভারব্রিজ লিফট খাতে সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো সম্ভাব্যতা যাচাই করা উচিত ছিল। এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, যাতে করে এসব কাজে দুর্নীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকে এবং জনগণ যেন এটার সুফল পায়।

পুরনো বাস ও অনিবন্ধিত রিকশার বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৪ বছর পর রিকশা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আবেদন পরবর্তী নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আশা করি চলতি মাসের মধ্যেই একটি পর্যায়ে আমরা যেতে পারব। আর গতকাল আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির যে বৈঠক করেছি সেখানে দুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। তার মধ্যে একটি হলো - পুরাতন বাস বাদ যাবে, নতুন বাস সংযোজিত হবে।’

এ সময় মেয়রের সঙ্গে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০২০)