রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রতিবেশী যুবকের ধর্ষণে ১৪ বছরের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ধর্ষিতার পরিবার। 

উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে ধর্ষক বিশু মিয়ার(৩০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনধর্ষিতারদাদি। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুর পিবিআই পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে ধর্ষকের পরিবার মামলা প্রত্যাহার ও কিশোরীর গর্ভের আলামত নষ্টের জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ধর্ষক বিশু মিয়া প্রতিবেশী ছায়ের ওরফে বানেছ ফকিরের ছেলে। দুই সন্তানের জনক ওই ধর্ষক পেশায় ভ্যান গাড়ি চালক।

মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বিলবালিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বাবা-মা রাজধানীর গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করেন। শৈশব থেকে সে গ্রামের বাড়িতে দাদির কাছে থাকে। গত ৫ আগস্ট দুপুরে ওই কিশোরীকে বাড়িতে রেখে তার দাদি সাংসারিক কাজে উপজেলা সদরে যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী ছায়ের ওরফে বানেছ ফকিরের ছেলে দুই সন্তানের জনক বিশু মিয়া ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে জানালে সে কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেয় ও কালক্ষেপন করতে থাকে। সে একই আশ্বাসে তাকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতার দাদি জানান, তার নাতিনের শারীরিক গঠনে সন্দেহ হলে গত শনিবার (৭ নভেম্বর) তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের সততা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়প্রতিবন্ধী কিশোরী তিনমাসের গর্ভবর্তী।

পরে তিনি বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে ধর্ষক বিশু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুর পিবিআই পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদি অভিযোগ করেন, মামলার পর থেকে তাদেরকে ধর্ষক নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার ও গর্ভের আলামত নষ্টের জন্য চাপপ্রয়োগ করছে।

(আরআর/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০২০)