স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতেধানের জেলা দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ হচ্ছে। আশাতীত সাফল্য ও ভালো দাম পাওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই ঘাস চাষে। গো-চারণ ভূমি’র অভাবে প্রাকৃতিক গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতেই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষে এগিয়ে আসছেন অনেকেই।

অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি দিগন্ত জুড়ে এখন সবুজ ঘাসের ক্ষেত। নেপিয়ার,জার্মান পারা,পাংচুং সহ বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। এই ঘাসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে এ অঞ্চলে। বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষক। এমনটাই জানালেন, সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের কৃষক আনিসুর।

প্রাণিবিদ ডা,শাহীস হোসেন জানান, একের পর এক আবাসিক এলাকা, শিল্প কল-কারখানা, খামার, স্থাপনা গড়ে ওঠায় এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে গেছে গো-চারণ ভূমি। এতে গরু পালন আর গো-খামার করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামাররিরা। বেঁধে পালন করতে হচ্ছে গরু।প্রাকৃতিক গো-খাদ্য ঘাস নেই বললেই চলে। গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা ঘাস আগে বিক্রি হতো এ অঞ্চলের হাট-বাজারে। এখন আর তা পাওয়া না যাওয়ায় নির্ভর করতে হচ্ছে,আবাদি উচ্চ ফলনশীল ঘাসে। তাই এই ঘাসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।

লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষক এখন ঘাস চাষে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দিনাজপুরের ১৩ উপজেলাতেই কমবেশী চাষ হচ্ছে ঘাস। গো-খামারীদের পাশাপাশি অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ করছেন।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানালেন,উত্তরের শষ্যভান্ডার দিনাজপুরেঘাস চাষেব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন কৃষক। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে ঘাস চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ হচ্ছে। এই ঘাস চাষ করে ঘুরেছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে এই ঘাস চাষের পরিধি আরো বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণিবিদ এবং কৃষিবিদরা।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০২০)